চট্টগ্রামের পটিয়ার বিএনপির রাজনীতিতে গ্রুপিং প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে হুমকি পাল্টা হুমকি, পরস্পর বিরোধী বিক্ষোভ শোকজ নোটিসেই উত্তপ্ত। মূলত জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম ও বর্তমান আহবায়ক আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়ার মধ্যে চলছে স্নায়ুযুদ্ধ
গত ১১ই জুন ইদ্রিস মিয়া বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসুচিতে এনাম গ্রুপের বিরুদ্ধে বেরাইজ্যা,বেশ্যা নামে বক্তব্য দিলে শুরু হয় প্রকাশ্য বিরোধ।এনাম গ্রুপ কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ কর্মসুচি পালন করে।এতে এনাম অনুসারী বিএনপির নেতারা ইদ্রিস মিয়াকে কটুক্তি করে বক্তব্য দেন।
এছাড়া ইদ্রিস মিয়াকে সান্ডা,ব্যাঙ,লিখে ফ্যাস্টুন ছাপিয়ে প্রদর্শন করে কটুক্তি ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ায় এনাম গ্রুপের ৬ জন নেতাকে শোকজ করা হয়। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিনের স্বাক্ষরিত পত্রে শোকজ করা হয়।
পটিয়া পৌরসভা বিএনপির সাবেক আহবায়ক নুরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব খোরশেদ আলম, পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী আবু তাহের, পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মোজাম্মেল হক, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মইনুল আলম ছোটনকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে শোকজ করা হয়।একই অভিযোগে বহিষ্কৃত হয় জাসাসের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সদস্য সচিব নাছির উদ্দীন।
দক্ষিন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন বলেন, একজন জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, শ্লোগান,ফেস্টুন ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের কারণে ৬জনকে গত ১৮ই জুন শোকজ করা হয়। ৫দিনের মধ্যে স্বশরীরে উপস্থিতিতে তা জবাব দিতে হবে। জবাব সন্তোষজনক না হলে পরবর্তী ব্যবস্হা নেয়া হবে।
এনাম গ্রুপের খোরশেদ আলম বলেন, তিনি নিজ দলের নেতাকর্মীকে করুচিপূর্ণ ভাষায় গালাগাল দিয়েছেন।দলীয় লোকজন তাতে ক্ষুব্দ হয়ে প্রতিবাদ সভা করে। নিজের অপরাধ ঢাকতে ইদ্রিস মিয়া আমাদেরকে শোকজের কথা বলেছেন।তার বিরুদ্ধে আমরা কেন্দ্রে অভিযোগ করব