পটিয়া অফিস
পটিয়া সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে টানা বৃষ্টিতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। বৃষ্টির কারণে কাজে যেতে না পারায় অনেকের আয় কমে গেছে, আবার কেউ কেউ ঘর থেকে বের হতেও পারছেন না। বিশেষ করে রিকশাচালক, নির্মাণ শ্রমিক, এবং ভাসমান দোকানিরা বেশি বিপাকে পড়েছেন।
অবিরাম বৃষ্টির কারণে অনেকে ঘর থেকে বের হতেও পারছেন না। যাদের জীবিকা দিনমজুরির ওপর নির্ভরশীল, দিন এনে দিন খাওয়া যাদের নিয়ম, তারা সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত।
নিম্ন আয়ের মানুষেরা কাজে যেতে না পারায় আয় কমে গেছে।বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে, বিভিন্ন ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষেরা খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে সমস্যায় পড়ছেন।বিশেষ করে, রিকশাচালকরা বৃষ্টিতে আয় কমে যাওয়ায় বেশি সমস্যায় পড়েছেন।রিকশা চালাতে না পারায় তাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) শ্রমজীবী হাট বলে পরিচিত রেলওয়ে ষ্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোর হতেই অনেকেই কাজের খোঁজে বের হলেও টানা বৃষ্টির কারণে কাজে যেতে পারেননি। এ অবস্থায় যাদের জরুরি প্রয়োজন, তারা ছাতা মাথায়, কেউবা রেইনকোট পরে আবার কেউ ভিজেই রওনা দিয়েছেন গন্তব্যের দিকে।
তবে নির্মাণশ্রমিকদের অনেকে কাজ না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
রিকশাচালক আবদুল আলম বলেন, গত ২–৩ দিন ধরে বৃষ্টির কারণে যাত্রী কমে গেছে। বৃষ্টিতে মানুষ রিকশায় উঠতে চায় না। ইনকাম অনেক কমে গেছে। যা পাই, তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার মালিককে টাকা জমা দিয়ে হাতে কিছুই থাকছে না। এইভাবে চলতে থাকলে ছেলেমেয়েদের নিয়ে সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে যাবে।
পটিয়া জেনারেল হাসপাতাল এলাকার ফুটপাতের দোকানদার মোহাম্মদ হারুন জানান, বৃষ্টির কারণে ঠিকভাবে দোকান খুলতে পারছি না। একটু বৃষ্টি থামলে দোকান খুলি, আবার বৃষ্টি এলে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখি। ক্রেতাও কমে গেছে, সবাই এখন মার্কেটের দিকে চলে যাচ্ছে। এভাবে বৃষ্টি পড়তেই থাকলে সংসার চালানো কঠিন হয়ে যাবে।