পটিয়া অফিস
চট্টগ্রামের পটিয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে বিভিন্ন ব্যাংককের শাখায় ব্যানার টানিয়ে অবরোধ করেছে চাকরিচ্যুতরা। এতে বন্ধ হয়ে গেছে অন্তত ৪৫টি শাখা,উপশাখার ব্যাংকের কার্যক্রম। চাকরিচ্যুতরা চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শতাধিক চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারী পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হন। এরপর তারা সড়কে কয়েক দফা বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে তারা পটিয়া সদরের বিভিন্ন ব্যাংকের মূল ফটকে ব্যানার টানিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে গ্রাহকরা ব্যাংকে প্রবেশ করতে না পারায় লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর চাকরিচ্যুতরা পটিয়া থানার মোড়ে অবস্থান নেন।
আন্দোলনে থাকা কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছি। পটিয়ায় সব ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে। আজ বিকেল পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।’
বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, গত বছরের আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, আল–আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় সাত হাজার কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এর অধিকাংশই চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা। বেশ কিছু দিন ধরে চাকরিচ্যুত ব্যক্তিরা চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা আজ পটিয়ায় সব ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন। তাদের দাবি, বিনা নোটিশে ও বিনা কারণে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
ইসলামী ব্যাংককের পটিয়া শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, সকালে ব্যাংকে প্রবেশের সুযোগ পাইনি আমরা। এখনও শাখার বাইরে অবস্থান করছি। ফলে কোনো ধরনের লেনদেন সম্ভব হচ্ছে না। গ্রাহকরা লেনদেনের জন্য এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।